মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন সময়ে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার নারীরা মানবতাবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেটা কখনো রাজনৈতিক মানবতাবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রেই হোক বা সামাজিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক মানবতাবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রেই হোক।
বাংলাদেশে ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন, যা পরবর্তীতে জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, তাতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল প্রথম সারিতে। নারী শিক্ষার্থীরাই প্রথম রাজপথে নেমেছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন পেশাজীবী নারী থেকে শুরু করে গৃহবধূ মায়েরাও তাদের সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে, অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সকল শ্রেণি-পেশার নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূচনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরা। ১৬ জুলাই ২০২৪, রাতে হলের তালা ভেঙে রাজপথে প্রথম বেরিয়ে এসেছিলেন তারা। এ সময় তাদের অনেকের হাতে ছিল স্টিলের প্লেট, চামচ বা খুন্তি দিয়ে, যা বাজিয়ে আওয়াজ তোলেন তারা। রাতের নিরবতা ভেঙ্গে ছাত্রীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। রাতের আঁধার চিড়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলগুলোতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হল, বিজয় একাত্তর হল, এ এফ রহমান হল, বুয়েটের বিভিন্ন হলসহ অন্যান্য হল থেকেও ছাত্ররা প্রতিবাদী কণ্ঠে স্লোগান দিতে দিতে যোগ দিয়েছিলেন রোকেয়া হলের ছাত্রীদের সাথে। পরবর্তীতে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সে সময় দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা এই মানবতাবাদী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল ছাত্রদের উপর যেনো কোনো আঘাত না আসে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাদের অধিকার আদায় করতে চেয়েছিল। রাজপথের স্লোগান হয়ে উঠেছিল তাদের প্রতিবাদের ভাষা, অধিকার আদায়ের মূল হাতিয়ার।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ, কলেজের ছাত্রীরা সেসময়ে আন্দোলনকে জোরদার করতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সারা দেশের নারী সমন্বয়করা নানাভাবে আন্দোলনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
সেই সাহসিকতাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্রী সীমা আক্তার। সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা সেইদিন সামনের সারিতে ছিলাম এবং আমাদের সবারই চিন্তা ছিল আমাদের ভাইদের যাতে কিছু না হয়। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা সামনে থাকলে কেউ তাদের ওপর হামলা করার সাহস করবে না। কিন্তু সেইদিন আমাদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা করা ওইদিন শুধু ভিসি চত্বরে আমার আশপাশে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল, যার অধিকাংশ ছিল নারী।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারীরা এখন শিক্ষিত হচ্ছে। তারা এখন আত্মসচেতন, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। বিশেষ করে আমরা এ প্রজন্মের যারা আছি, তারা আরো আগে থেকেই অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। আমরা স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সড়ক আন্দোলনে ছিলাম। এ আন্দোলন আমাদের একজন নাগরিক হিসেবে অধিকারের বিষয়ে, দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন করে তুলেছে। আমরা নিজেদের কোনো বিভাজনের বাইরে গিয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেই সামনে এগোনোর চেষ্টা করি। আর এ কারণেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গিয়ে অধিকার নিশ্চিতের জন্য নেমেছিলাম।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০২৪ এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক আনিকা তাহসিনা। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম যে আলোড়ন, তা সৃষ্টি হয় নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই। শাহবাগ মোড়ে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি, হলের মিছিল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে স্লোগানে মুখরিত উত্তাল নারীর অংশগ্রহণ ছিল দেখার মতো। নারীরা কখনোই বাধা ছিল না। বরং আন্দোলনে নারীরা ছিল শক্তি। প্রথম আঘাতের শিকার হয়েছিলেন নারীরা। এত হামলা বা আঘাতের পরও পূর্ণ শক্তি দিয়ে তারা রাজপথে অবস্থান নিয়েছিলেন। নারীদের অবদান প্রতিটি স্তরেই রয়েছে। স্ত্রী তার স্বামীকে, মা তার সন্তানকে আন্দোলনে যেতে উৎসাহ জুগিয়েছেন, সন্তানের আত্মত্যাগকে মেনে নিয়েছেন, এমনকি নারীরা নিজেও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের অবদান রয়েছে। আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এক হয়েছি বলেই বিজয় আনতে পেরেছি।’
রাজাধানীর ঢাকার মতো বিভাগীয় শহরগুলোতেও নারীর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারি বরিশাল কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নিপু। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে গ্রাফিতি আঁকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস নিপু ও তার আরেক নারী সহপাঠী এক চিত্রশিল্পীর কাছ থেকে বিনা মূল্যে রংতুলি নেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতের নিরবতা ভেদ করে তাঁরা দেয়ালে প্রথম গ্রাফিতি এঁকেছিলেন।
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা ও মানসিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন অনেক নারী। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ও নার্স যেমন ছিল, তেমনি গৃহবধূ, মায়েরাও ঘরের বাইরে এসেছিলেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাসার গ্যারেজে ১০০-এর বেশি আহত শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন দুই চিকিৎসক অধী ওখরিফ ও প্রতিশা আক্তার।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নারীদের এ অংশগ্রহণ আন্দোলনকে সামনে এসিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা বলেন, ‘নারীরা এর আগেও বিভিন্ন আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা দেখিয়েছেন। এ আন্দোলনে আবারো বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা আর অনগ্রসর নয়। তারা নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী। তারা কোনো করুণা দিয়ে নয় বরং নিজের যোগ্যতা দিয়ে সমান প্রতিযোগিতা করে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। আর এ আন্দোলনে শুধু নারী শিক্ষার্থীরা নয়, মায়েরা যেভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তা সবাইকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস জুগিয়েছে।’
গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকার প্রশংসা করে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে শুধু অংশগ্রহণ নয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায়ও নারীদের দেখতে চান তাঁরা।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন জুলাই আগস্টের আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে নারীর অংশগ্রহণ সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
অথচ, গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবাদী আন্দোলনে নারীর এই অবদান ও আত্মত্যাগ আগস্ট -এর পর আন্দোলনের দৃশ্যপট থেকে একটু একটু করে অদৃশ্য হতে থাকে। যারা প্রথম সারিতে অবস্থান নিয়ে সমানভাবে লড়াই করে আন্দোলনকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই নারীরাই আন্দোলনের ইতিহাস থেকে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে গিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবাদী আন্দোলনে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা প্রথম সোচ্চার হয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন ৫ আগস্টের পর তাদের কথা সেভাবে উঠে আসেনি।
যদি নারীমুক্তি আন্দোলনের দিকে ফিরে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যায়, পূর্বেও নারীমুক্তি আন্দোলনে মূলত দুটি বিষয়ের ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, নারীরা তাদের অস্তিত্বের উপস্থিতির ওপর জোর দিয়েছেন, দ্বিতীয়ত, কেন নারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে গেছেন কিংবা তাদের নীরব থাকতে হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছেন। যেমন রোজিকা পার্কার ও নিসেন্ডা গেলোক ১৯৭০ সালে লিখছেন, শিল্পকলার নানা সংগঠনের ভেতরে ও বাইরে নারী ও প্রগতি চিত্রশিল্পীদের একটা মাথাব্যথা ছিল, চিত্রপ্রদর্শনী আয়োজনের ক্ষেত্রে পুরুষ এককভাবে সর্বত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। শুধু লন্ডনের প্রতিষ্ঠিত গ্যালারিগুলোতেই নয়, সেখানে বিকল্প যেসব স্যালারি গড়ে উঠছিল, তাতেও ছিল পুরুষ শিল্পীদের একচ্ছত্র আধিপত্য। চিলি ওলসেন তাঁর নীরবতা (১৯৮০) শীর্ষক বইয়ে এই অনুপস্থিতির কারণে নারী সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কী হারিয়েছে তার বিবরণ দিয়েছেন। নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে ‘নিজের জন্য একটি কামরা’ (উল্ল্ফ ১৯২৯) গ্রন্থে আর্জিনিয়া উল্ফও সাহিত্য ক্ষেত্রে নারীর এই অনুপস্থিতির প্রভাবের কথা লিপিবদ্ধ করে গেছেন।
বাংলাদেশে ২০২৪ এর আগস্ট পরবর্তী সময়ে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান শেষে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের ভূমিকাকে উপেক্ষা করার চেষ্টা চলছে। লক্ষ্যণীয় যে, সফল গণঅভ্যুত্থানের পর যখন রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে সেখানে নারী নেতৃত্বের উপস্থিতিও তুলনামূলকভাবে কম। তাহলে এই আন্দোলনও কি অতীতের একই বার্তা দেয়? নারীরা তাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেই দিনাতিপাত করবে? নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ বা সঠিক সময় কি আদৌ হবে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এ বিষয়ে বলেন, ‘আন্দোলনে অনেক কৌশল করে, বাড়িতে মিথ্যা বলে, কোচিংয়ের কথা বলে, মায়ের পা ধরে সামাজিক ঘেরাটোপ ভেঙে নারীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। আন্দোলনের পর ওই নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে হয়রানির শিকার হন। যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় টার্গেট করে হ্যারাস করা হয়েছিল। হ্যারাসকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারণেও নারীরা কর্নার হয়ে গিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ফলপ্রসু হওয়ার পর এখন নারীরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই সময়ে এসেও নারীদের বলতে হচ্ছে, আমরাও আন্দোলনে ছিলাম। ক্যাপাসিটি থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পাওয়ার ডায়নামিকসে যারা
আছেন, সে জায়গায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব নেই, সেটাও বাড়াতে হবে। নারীদের ভূমিকা নারীরা নিজ থেকে বলবেন না। এটার একনলেজমেন্ট রাষ্ট্রকেই করতে হবে।‘
আন্দোলনে কয়েক দফায় আহত হওয়া কামরাঙ্গীরচর এলাকার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার জান্নাত বলেন, ‘অভ্যুত্থানে নারীদের যে ভূমিকা ছিল তা ঠিকভাবে স্বীকার করা তো দূরের কথা, তাদেরকে আরও বাদ দেওয়া হচ্ছে, যা মূলত বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই ছেলেদের মতো মেয়েদের ভূমিকা ছিল। কিন্তু অতীতের মতো নারীদের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ছিল, সেটা এখনো অব্যাহত আছে।’
আশুলিয়ায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীশ্রমিক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অনেকেই বলছেন গণ-অভ্যুত্থানে মূলত ছাত্রদের আন্দোলন ছিল । কিন্তু এতে শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে নারী শ্রমিকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। অনেক নারী আহত-নিহত হন, যা এখনও অবধি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।’
২০২৪ এর মত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদানকে যেন সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় তার জন্য রাষ্ট্রকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অতীতের ধারাবাহিকতায় যেন নারীদের আবারও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে না হয় সে দায়িত্বও রাষ্ট্রযন্ত্রের। আর তার জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্র কর্তৃক তাদের অবদানের স্বীকৃতি, তাদের সাথে ঘটা হয়রানির সঠিক তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে নারী নেতৃত্বকে উৎসাহ প্রদান এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ। আর তাহলেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যে লক্ষ্য ছিলো একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার, সেই লক্ষ্য পূরণে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
লেখক: রীতা ভৌমিক
সম্পাদনা: শারমিন রহমান সুমি

