বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল এশিয়ান গেমস, এশিয়ান বিচ গেমস, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, সাউথ এশিয়ান গেমস আর সাউথ এশিয়ান বিচ গেমসে পদক জয়ের মুখ দেখলেও বিশ্বকাপে এখনো পদক জিততে পারেনি। আসন্ন বিশ্বকাপে পদকে চোখ রেখেই নারী দল ভারত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ১-৮জুন ১৪টি দল নিয়ে শুরু হতে যাওয়া এ আসরটি বিহার রাজ্যের রাজগির শহরে অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ইরান, জাপান, পোল্যান্ড, কেনিয়া, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, নেপাল, উগান্ডা, জার্মানি, চাইনিজ তাইপে, নেদারল্যান্ডস,জাঞ্জিবার ও স্বাগতিক ভারত। এদিকে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন আগেই ঘোষণা করে রেখেছে টিম বাংলাদেশ বিশ্বকাপে পদক জিততে পারলে ২০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। বিশ্বকাপে ভালো করার প্রত্যয়ে লোকাল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য লাল-সবুজের দেশ একটু আগে-ভাগে রাজগিরে যাবার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, স্বাগতিক ভারতের কাছে আমরা কিছু ফ্যাসিলিটিজ চেয়েছি। একজন কো-অর্ডিনেটর চেয়েছি। একজন ফিমেল কোচ চেয়েছি। এটলিস্ট বিশ্বকাপের আগে কন্ডিশন ক্যাম্পের জন্য আগে যেতে চেয়েছি। বিশেষ করে গোকুলনামে একটা জায়গা আছে পানিপথ নামক স্থানের পাশে, সেখানেই লোকাল গ্রাউন্ডে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি। বাকিটা এখন তাদের উপর ডিপেন্ড করছে ভারত কিভাবে কি করবে। সেখানে বিভিন্ন রাজ্য দলের সঙ্গে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি ম্যাচ খেলতে চাই। সম্ভব হলে বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলের সঙ্গেও প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। দুয়ারে বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে।এখন নতুন করে কিছু শেখার নেই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি আর কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার জন্যই একটু আগেভাগে দল পাঠাতে চাচ্ছি।

এদিকে টিম ম্যানেজার মো. মনির হোসেন বলেন, বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ১০ জানুয়ারি থেকে ২৭ জন নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প শুরু হয়েছিল।প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মার্চ মাসে আমরা ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলাম। ওই চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো ব্রোঞ্জ পদক জয়ের মধ্য দিয়ে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এরপর নেপাল ভীতি কাটাতে এপ্রিল মাসে ললিতপুরে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের কাবাডি টেস্ট খেলতে গিয়েছিলাম। ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও প্রাপ্তি মন্দ ছিল না। এক প্রশ্নে তিনি জানান, ক্যাম্পে বর্তমানে ১৮ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জন বিশ্বকাপে যাবেন। ২ জন স্ট্যান্ডবাই রেখেছি।

অপর দিকে কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা বলেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষে দলের প্রস্তুতি জোরে শোরে এগিয়ে চলছে। মেয়েরা ভীষণ পরিশ্রম করছেন। সকাল বিকেল দুই বেলা ধানমন্ডি শহীদ রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে তারা কঠোর অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন। সাবেক এ তারকা খেলোয়াড় আরো বলেন, সবশেষ এশিয়ান গেমস ও সাউথ এশিয়ান গেমসেআমরা নেপালেরকাছে হেরে যাওয়ায় দলের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করছিল। কেননা এ মুহূর্তে যে কোনো গেমসেই পদক জয়ের ক্ষেত্রে নেপাল আমাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। তবে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের কাবাডি টেস্ট খেলার পর মেয়েরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। স্বাগতিক নেপালের কাছে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও প্রথম দুইম্যাচ পরবর্তী তিনটি ম্যাচে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ৩ থেকে ৫ পয়েন্ট। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে হারিয়েছি। কিন্তু বিশ্ব কাবাডির পরাশক্তি ভারত ও ইরানের সঙ্গে পেরে উঠিনি। কাজেই বিশ্বকাপে যেসব দল আসছে ভারত ও ইরান ছাড়া সবাইকেই হারানোর মতো আমাদের যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু কাবাডি এমন এক খেলা যেখানে খেলতে গিয়ে প্রায় সময় খেলোয়াড়রা ইনজুরিতে ভোগেন। যদিও এ মুহূর্তে দলে কোনো ইনজুরি নেই। বিশ্বকাপের আগে দলের কোন দিকটায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নে কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা জানান, মেয়েদের ফিটনেসের উপরই বেশি জোর দিচ্ছি। নেপাল থেকে ফিরে আসার পর এদিকটায় একটু দুর্বল মনে হচ্ছিল। এ ছাড়া রক্ষণভাগ ও আক্রমণভাগে কোথায় কোন দুর্বলতা রয়েছে সেদিকেও নজর রয়েছে। সর্বোপরি কোথাও কোনো দুর্বলতা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চান না জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলা এই সাবেক তারকা। কথা প্রসঙ্গে জানান, এ মুহূর্তে সবাই চমৎকার ফর্মে রয়েছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য বিশ্বকাপে তারা দেশকে পদক উপহার দিতে চান।

বিশ্বকাপে দল নিয়ে অধিনায়ক শ্রাবণী মল্লিকও ভীষণ আশাবাদী। তিনি মনে করছেন যেভাবে ডে বাই ডে দলের উন্নতি হচ্ছে সেখানে পদক জয় করা অসম্ভব নয়। এক প্রশ্নে উদীয়মান এ তারকা বলেন, বিশ্বকাপের আগে আমরা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও নেপালে কাবাডি টেস্টসহ মোট ৯টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৪টি জয় পেয়েছি। বলতে গেলে ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়েই ভারতে যাচ্ছি। সেখানে যদি বিশ্বকাপের আগে আরো কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই তাহলে আরো বেশি উপকৃত হব। সাড়ে চার মাসের বেশি আমরা আবাসিক ক্যাম্পে রয়েছি। সবার মধ্যে দারুণ একটা ঐক্যগড়ে উঠেছে। খেলার মাঠেও সমন্বয়, সমঝোতা আর বোঝাপড়াটাও চমৎকারভাবে গড়ে উঠছে। কাজেইবিশ্বকাপে পদক জয় করতে আমরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। অপর প্রশ্নে শ্রাবণী মল্লিক বলেন, ২০১৯ সালের পর টানা পাঁচ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে ছিলাম না। দীর্ঘ বিরতির পর গেল মার্চে ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। সেই চাঙ্গা ভাবটা গত এপ্রিলে নেপাল গিয়েও দেখিয়েছিলাম। অপেক্ষাকৃত শক্ত প্রতিপক্ষ নেপালের কাছে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের কাবাডি টেস্ট ৩-২ ব্যবধানে হারলেও প্রাপ্তি অনেকছিল। বিশেষ করে কোথায়, কার কোন পজিশনে দুর্বল তা ছিল সেটা বিশ্বকাপের আগে চিহ্নিত করায় দল আগের চেয়ে আরো পরিণত হয়েছে। প্রথম বিশ্বকাপে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। এবার দ্বিতীয় আসরে পদক জয়ের লক্ষ্যে যাচ্ছি।

এদিকে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, নারী বিশ্বকাপ কাবাডিতে আমাদের কোনো পদক নেই। সেই পদক জয়ই এখন একমাত্র লক্ষ্য। সেটার রঙ গোল্ড হবে না’কি সিলভার হবে, না’কি ব্রোঞ্জ হবে তা মূখ্য নয়,আমরা বিশ্বকাপ থেকে পদক জিততে চাই। কথা প্রসঙ্গে বলেন, মেয়েরা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যাবার আগে কমিটেড ছিলেন তারা পদক জিতবেন। সেই কমিটমেন্ট তারা রেখেছেন। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন। এরপর নেপালে কাবাডি টেস্ট খেলার আগে সিরিজ জয়ের কথা বলেছিলেন। হয়ত মেয়েরা জিততে পারেননি, তবে পরাজয়ের ব্যবধান প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল। প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতির ছাপ দেখেছি। সেই থেকে কাবাডি দল আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। ২০১২ সালে প্রথম বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পঞ্চম হয়েছিলাম। এক যুগ পর দ্বিতীয় নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। স্বাগতিক ভারত জানিয়েছে বিশ্বকাপে ১৪টি দেশ অংশ নেবে। কাবাডির নিয়ম হচ্ছে সব কয়টি দেশের উপস্থিতিতে নম্বর ড্র এবং ফিকচার তৈরী করা হয়। শেষ পর্যন্ত কয়টি দেশ এবং কয়টি গ্রুপে খেলা হবে আগাম বলা মুসকিল। ধরে নিচ্ছি ১৪টি দলই অংশ নেবে। এ ক্ষেত্রে চারটি গ্রুপে খেলা হতে পারে। আমরা কোন গ্রুপে খেলবো কিংবা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীই বা কোন কোন দেশ জানিনা। সম্ভাব্য কোন কোন দেশ পদক জয়ের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে এমন প্রশ্নে- এস এম নেওয়াজ সোহাগ জানান,আমাদের মেইন প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে চাইনিজ তাইপে, নেপাল, থাইল্যান্ড ও জাপান। এদের সঙ্গে মোকাবেলা করেই পদক জিততে হবে। ন্যাচারালি ভারত আর ইরানকে সবার উপরে রাখতে চাচ্ছি। তারা বিশ্ব কাবাডির অন্যতম পরাশক্তি। যদি সবশেষ এশিয়ান গেমসের দিকে তাকাই তাহলে দেখবেন,ভারত গোল্ড মেডেল পেয়েছিল। ইরানকে হারিয়ে চাইনিজ তাইপে সিলভার মেডেল জিতেছিল। ইরান পেয়েছিল ব্রোঞ্জ মেডেল। অপর প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্বকাপে যাবার আগে নেপালে কাবাডি টেস্ট খেলে আসায় আমাদের বরং উপকারই হয়েছে। সেখানে যে সব ভুল-ত্রুটিগুলো করেছিল তা শুধরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে মেয়েদের ফিটনেট ঘাটতি একটা বড় সমস্যা ছিল। যা রিকভার করার চেষ্টা করছি। এরপর কাবাডি টেস্টের প্রথম দুই ম্যাচে দলের রক্ষণভাগ ও আক্রমণভাগ যেভাবে ছন্নছাড়া হয়েছিল সেটা যেনো বিশ্বকাপে না হয় তা রিকভার করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি মেয়েরা বিশ্বকাপে ভালো খেলবেন। এ মুহূর্তে একটা মেডেল দরকার। মেয়েরা সেই চেষ্টা করবেন। খেলাটা হচ্ছে কি, ধারণ করতে হবে। নিজের মন দিয়ে খেলতে হবে। আমি তো সেক্রেটারি হয়ে খেলে দিতে পারব না। আমরা পলিসি তৈরি করে দিতে পারবো। আমরা সার্পোটিং রোল প্লে-করতে পারবো। কিন্তু খেলতে হবে তাদের। তা হলে কি দেশি কোচের উপরই আস্থা রেখে বিশ্বকাপে যেতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্নে এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের যে প্ল্যান, তাতে আমি জাতীয় দলে দেশি কোচের উপরই আস্থা রাখতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে বলতে গেলে দুইজনই নতুন কোচ। একজন শাহনাজ পারভীন মালেকা। ও’ আগে দলের মধ্যে ছিল। আরেকজন হচ্ছে আমাদের চমৎকার আবিস্কার আরদুজ্জামান মুন্সী।তারা তো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক দিয়েছেন। কাজেই বিশ্বকাপেও আস্থা রাখতে চাই।

উল্লেখ্য এর আগে প্রথম নারী বিশ্বকাপ কাবাডি ২০১২ সালের ১- ৪ মার্চ ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরের কঙ্করবাগ পাটলিপুত্র স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্বকাপের ফরম্যাট অনুযায়ী শুরুতে ১৬টি দল ৪টি গ্রুপে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে, মেক্সিকো; ‘বি’গ্রুপে থাইল্যান্ড, জাপান, কানাডা, তুর্কমেনিস্তান; ‘সি’গ্রুপে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইতালি, মালয়েশিয়া এবং ‘ডি’গ্রুপে ইরান, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও আমেরিকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এরপর প্রতিটি গ্রুপের দু’টি করে শীর্ষ দল কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। তারপর সেমিফাইনাল পরবর্তী ফাইনাল দিয়ে জমজমাট আসরটি শেষ হয়েছিল। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ও ইরান প্রথম রানার্সআপ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছিল জাপান ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে ৭০:৩০ পয়েন্টে মালয়েশিয়া, ৮৫:১১ পয়েন্টে ইতালি ও ৩৮:২৬ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শতভাগ জয় নিয়ে‘সি’গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। এরপর লাল-সবুজ পতাকাধারী খেলোয়াড়রা সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে জাপানের কাছে ১৭:১৫ পয়েন্টে অর্থাৎ মাত্র ২ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল।

বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দলঃ শ্রাবণী মল্লিক (অধিনায়ক), বৃষ্টি বিশ্বাস (সহ-অধিনায়ক), রূপালি (সিনিয়র), স্মৃতি আক্তার, রেখা আক্তারী, মেবি চাকমা, রূপালি আক্তার (জুনিয়র), লাকি আক্তার, আঞ্জুয়ারা রাত্রি, সুচরিতা চাকমা, খাদিজা খাতুন, লোবা আক্তার, ইয়াসমিন খানম, নবর্শি চাকমা, ইসরাত জাহান সাদিকা ও তাহরিম।

কোচঃ শাহনাজ পারভীন মালেকা ও আরদুজ্জামান মুন্সী।
ম্যানেজারঃ মো. মনির হোসেন।

এক নজরে নারী কাবাডি দলের সাফল্য

প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপ
সাল সাফল্য
২০১২ কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়

এশিয়ান গেমস
সাল সাফল্য
২০১০ ব্রোঞ্জপদক
২০১৪ ব্রোঞ্জপদক

সাউথ এশিয়ান গেমস
সাল সাফল্য
২০০৬ ব্রোঞ্জপদক
২০১০ রৌপ্যপদক
২০১৬ রৌপ্য পদক
২০১৯ ব্রোঞ্জপদক

সাউথ এশিয়ান বিচ গেমস
সাল সাফল্য
২০১১ ব্রোঞ্জপদক

এশিয়ান বিচ গেমস
সাল সাফল্য
২০১০ ব্রোঞ্জপদক
২০১২ ব্রোঞ্জপদক

এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ
সাল সাফল্য
২০২৫ ব্রোঞ্জ পদক#

মোরসালিন আহমেদ